আর্জেন্টিনার কাছে হেরে কেঁদে ভাসিয়েছিলেন ব্রাজিল স্ট্রাইকার

আর্জেন্টিনার কাছে হেরে কেঁদে ভাসিয়েছিলেন ব্রাজিল স্ট্রাইকার

ব্রাজিলের ইতিহাসে গেল বছরের আগে আর্জেন্টিনার কাছে ফাইনাল হারের রেকর্ড ছিল একটা। তাও সেই ১৯৩৭ সালে। এরপর টানা তিন ফাইনালে আলবিসেলস্তেদের বিপক্ষে বিজয়ীর হাসি হেসেছে সেলেসাওরাই। সেই আর্জেন্টিনার কাছেই কিনা গেল বছর কোপা আমেরিকার ফাইনালে হেরেছিল ব্রাজিল। এমন হার ব্রাজিল ফরোয়ার্ড রিশার্লিসন মেনেই নিতে পারেননি। রীতিমতো কেঁদেকেটে ভাসিয়েছেন, লজ্জায় বেরোতে চাননি রুম ছেড়েই। 

সম্প্রতি ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারে অবশ্য আর্জেন্টিনা ও লিওনেল মেসি নিয়ে ভূয়সী প্রশংসাই ঝরে পড়েছে তার কণ্ঠে। তবে সে প্রশংসা অবশ্য তার দুঃখকে ঢেকে দিতে পারেনি একটু। সেই ফাইনাল হারের পর কেমন লাগছিল, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি কেঁদেই ভাসিয়ে দিয়েছিলাম। এই হারটা খুবই কষ্ট দিয়েছিল। আমি আমার রুম ছেড়েই তখন বেরোতে চাইনি।’

ক্লাব দল এভারটনে আর্জেন্টাইন রবার্তো ম্যাক্সিমিলানো পেরেইরার সঙ্গে খেলেন ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড। দুই দেশের চিরবৈরিতা ছাপিয়ে অবশ্য তখন মুখ্য হয়ে ওঠে বন্ধুত্বটাই। দু’জনের মধ্যে বেশ খুনসুটি হয় আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল নিয়ে। তবে তা বরং দু’জনের বন্ধুত্বকে আরও শক্তপোক্তই করে তোলে, জানালেন রিশার্লিসন। বললেন, ‘কৌতুকগুলো মাঠেই পড়ে থাকে। এটা অবশ্য ফুটবল রূপকথারই অংশ। তারা তাদের জার্সির জন্য খেলে, আমি আমার দেশের জন্য। রবার্তো পেরেইরার সঙ্গে আমার বন্ধুত্বটা দারুণ।’

চিরবৈরি দেশের খেলোয়াড় হলেও লিওনেল মেসিকে বিশ্বসেরা মানতে দ্বিধা নেই তার। তিনি বললেন, ‘লিও বিশ্বসেরা। সে ভিনগ্রহের প্রাণী, আমি তার সঙ্গে খেলতে চাই। কোপা আমেরিকার শিরোপাটাও যোগ্য হিসেবেই জিতেছে সে, সেটা যখন তার সতীর্থরা তাকে জড়িয়ে ধরেছিল, তখনই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল।’

সেই কোপা আমেরিকা শিরোপা যে আর্জেন্টিনাকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে, এটাও মনে করেন তিনি। তবে বিশ্বকাপে নিজেদের দলকেও পিছিয়ে রাখলেন না রিশার্লিসন। বললেন, ‘আমরা কখনোই প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিইনি। আমাদের পাঁচটা শিরোপা আছে। তবে তারা বেশ আত্মবিশ্বাসী এখন। কোপা আমেরিকার পর থেকে তারা আরও শক্তিশালী হয়েছে। তার ওপর অনেক ম্যাচ ধরেই তারা অপরাজিত। আমার মনে হয় তারা বিশ্বকাপে দারুণ ফর্মে থেকেই যাবে।’

 

আপনি আরও পড়তে পারেন